চিরশান্তির ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম
ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল মাহবুবী
একবিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ একটি নব জাগরণের নাম। অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার এক অনন্য প্রতীক। মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষায় আলোকিত হয়ে মানুষে মানুষে হানাহানি, যুদ্ধ-বিগ্রহ, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসের অবসান ঘটিয়ে মাটির পৃথিবীকে শান্তির স্বর্গে পরিণত করা সম্ভব। আর একারণেই এর জনপ্রিয়তা ও বিস্তৃতি এত দ্রুত ও ব্যাপকতর।
কারো কারো কাছে ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ অভিনব মনে হলেও আসলে তা সুপ্রাচীন ও মৌলিক ধর্ম। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) দীর্ঘ পনের বছর হেরা গুহায় মোরাকাবা করে আল্লাহ্ তায়ালার কাছ থেকে যে বাণী লাভ করেছিলেন, এরই পরিপূর্ণরূপ হলো মোহাম্মদী ইসলাম। তাঁর নবুয়তী জীবনের তেইশ বছরে এর পূর্ণতা এসেছে বলেই পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “আজ আমি তোমাদের ধর্মকে পূর্ণ করে দিলাম, এতে আমার নেয়ামত পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে একমাত্র ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম” (সূরা- আল মায়িদাহ, আয়াত-৩)।
রাহমাতুল্লিল আলামীন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর শান্তির ধর্ম মোহাম্মদী ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ছিল- (১) আত্মশুদ্ধি, (২) দিল জিন্দা ও (৩) নামাজে হুজুরী। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “সেই সফলকাম, যে আত্মশুদ্ধি লাভ করেছে ও প্রভুর নামের জ্বিকির করে, অতঃপর নামাজ কায়েম করে” (সূরা- আল্ আ‘লা, আয়াত-১৪ ও ১৫)। অধিকন্তু তিনি সাহাবীদেরকে তাঁর মহব্বত অর্জনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার শিক্ষা দিতেন। কারণ হযরত রাসূল (সঃ)-এর মহব্বত হাসিল না হলে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যায় না। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “হে হাবীব! আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, আমাকে অনুসরণ কর, তবে আল্লাহ্ও তোমাদের ভালবাসবেন, তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন” (সূরা- আলে ইমরান; আয়াত- ৩১)। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি নিজের জান-মাল, পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি যাবতীয় সব কিছুর চেয়ে আমাকে বেশী ভাল না বাসবে, সে মু’মিন হতে পারবে না” (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)। হযরত রাসূল (সঃ) আইয়্যামে জাহেলীয়াতের মানুষদের মোহাম্মদী ইসলামের মৌলিক শিক্ষা দিয়ে আশেকে রাসূল বানিয়ে পরিপূর্ণ ঈমানদারে পরিণত করেছিলেন। ফলে মুসলিম জাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শক্তি-সামর্থে, ধন-সম্পদে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিতে উন্নীত হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, “তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। তোমাদের উত্থিত করা হয়েছে মানব জাতির জন্য; তোমরা সৎকার্যে আদেশ কর, অসৎ কার্যে নিষেধ কর” (সূরা-আলে ইমরান, আয়াত-১১০)।
মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ণযুগ ছিল ৫৩ বছর। হযরত রাসূল (সঃ)-এর নবুয়তী যুগের ২৩ বছর ও খোলাফায়ে রাশেদার ৩০ বছর। মোহাম্মদী ইসলামের মূল চালিকা শক্তি ছিল হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর রূহানী শক্তি। একথা সর্বজন সুবিদিত যে, তিনি কোন মক্তব, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করেননি। হেরা গুহায় মোরাকাবার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করে তাঁর মাঝে যে রূহানী শক্তির সঞ্চার হয়েছিল, ঐ শক্তি দিয়েই তিনি বর্বর আরবদের আত্মা পরিশুদ্ধ করে আদর্শ চরিত্রবান করেছিলেন।
হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর শিক্ষার ছিল চারটি দিক। তিনি বলেন, “শরীয়ত আমার কথা, তরীকত আমার কাজ, হাকীকত আমার অবস্থা ও মারেফত আমার নিগূঢ় রহস্য। এই চারটি শিক্ষা দিয়েই তিনি মানুষকে আদর্শবান করে গড়ে তুলেছিলেন। শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী তরীকতের আমল করলে মানুষের মাঝে হাকীকতের বিশেষ অবস্থা সৃষ্টি হয়। এরপরই মারেফতের সুফল লাভ করা যায়। উপমা স্বরূপ বলা যায়- যদি কারো আম খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তবে তার এই ইচ্ছাটা শরীয়ত। আমের আটি মাটিতে বপন করে পানি দিয়ে পরিচর্য্যা করে চারা গাছ জন্মানো হলো তরীকত। ঐ পরিচর্য্যার ফলে গাছে যে ফুল ফুটে এটা হাকীকত। আর ঐ ফুলে আম ধরাই হলো মারেফত তথা- চূড়ান্ত সফলতা।
হযরত রাসূল (সঃ) শরীয়তের নির্দেশনা অনুসারে তরীকতের আমল করিয়ে মানুষের মাঝে হাকীকতে ইনসানের চরিত্র গঠন করতেন। আর তখনই বর্বর যুগের অসভ্য মানুষগুলো মারেফতের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে আদর্শবান হয়ে যেত। এজন্যই শরীয়তের পাশাপাশি মারেফতের গুরুত্ব সম্বন্ধে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য শরীয়ত ও স্পষ্ট পথ (মারেফত) নির্ধারণ করেছি” (সূরা-আল মায়িদাহ আয়াত- ৪৮)। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সঃ) জ্ঞানকে দুইভাগে বিভক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “জ্ঞান দুই প্রকার। তাঁর মধ্যে অন্তরের জ্ঞান মানুষের জন্য পরম উপকারী। মৌখিক জ্ঞান (কিতাবী জ্ঞান) আদম সন্তানদের জন্য আল্লাহ্র দলিল স্বরূপ।” -আল হাদীস। অন্তরের জ্ঞান দিয়ে মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করে আদর্শ চরিত্রবান হয়ে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতঃ আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদায় উন্নীত হতে পারে। বাহ্যিক জ্ঞান তথা কিতাবী জ্ঞান দিয়ে ধর্ম সম্বন্ধে ধারণা লাভ করা গেলেও মানব জীবনে ধর্মের বাস্তবতা উপলব্ধি করা যায় না।
প্রকৃতপক্ষে, হযরত রাসূল (সঃ)-এর অন্তরের নূরে মোহাম্মদীই হেদায়েতের মূল চালিকা শক্তি। এর মাধ্যমেই একজন মানুষ স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করে দুনিয়ার ও আখেরাতের কল্যাণ সাধন করতে পারে। হযরত রাসূল (সঃ)-এর এই শিক্ষা ৬১ হিজরীতে কারবালায় ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাৎ বরণের মাধ্যমে জগত থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। কারণ ঐ হেদায়েতের নূর তখনও তাঁর মাধ্যমে জগতে বিরাজমান ছিল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) শাহাদাত বরণের পর মুসলিম জাতি সেই হেদায়েতের নূর হারিয়ে ফেলে। এতে ইলমে মারেফতের আলোর পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোহাম্মদী ইসলাম প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ফলে মুসলিম জাতি আল্লাহ্ তায়ালা ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর সাথে যোগাযোগের পথ ভুলে গিয়ে ধর্মের বাস্তবতা হারিয়ে শরীয়ত সর্বস্ব হয়ে কিতাব নির্ভর হয়ে পড়ে। এতে মুসলমানদের মধ্যে নানা রকম মতভেদ সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন মতবাদ ও দলের উদ্ভব ঘটে। যেমন, শিয়া, খারেজী, মুতাজিলা, আশারিয়া প্রভৃতি। পরবর্তীতে হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী, মালেকী মাজহাবসহ আরো বহু মাজহাব সৃষ্টি হয়।
অপর দিকে হযরত রাসূল (সঃ)-এর মারেফতের শিক্ষার অনুসারী মুসলমানরা লোক চক্ষুর অন্তরালে সাধনা ও আরাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। তারা তখন ‘আবিদ’ (ইবাদতকারী), ‘যাহিদ’ (দুনিয়া বিরাগী), ‘নাহিদ’ (ক্রন্দনকারী) নামে অভিহিত হতেন। আবার কোথাও কোথাও ‘মুকাব্বার’ (নৈকট্য লাভকারী), ‘সাবেরীন’ (ধৈর্য্যশীল), ‘আবরার’ (পূণ্যবান) প্রভৃতি নামেও অভিহিত হতেন। পরবর্তীতে তাঁরাই সূফী নামে পরিচিতি লাভ করেন।
ঐতিহাসিক ইবনে খালদুন তাঁর বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ “কিতাবুল এবার”-এর আল-মুকাদ্দিমা’য় উল্লেখ করেছেন, “প্রাচীনকালের মুসলমানরা এবং তাঁদের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ তথা- হযরতের সাহাবা, তাবেঈন ও তাবে-তাবেঈন সূফী মতবাদকে সত্য ও মুক্তির পথ বলে মনে করতেন। গভীর নিষ্ঠার সহিত আল্লাহ্র উপর নির্ভর করা, আল্লাহ্র জন্য সর্বস্ব ত্যাগ, পার্থিব জাঁক-জমক, বিলাশ-ব্যাসন, আমোদ-আহলাদ, ঐশ্বর্য্য ও ক্ষমতা প্রভৃতি যা কিছু মানুষের কাম্য, তার সবই ত্যাগ করে জনসমাজের বাইরে নির্জনে আল্লাহ্র আরাধনায় নিয়োজিত থাকাই হলো সূফী মতবাদের মৌলিক নীতি। সাহাবীগণ ও প্রথম যুগের মুসলমানগণও এ নীতি সমর্থন করতেন।”
কালক্রমে সূফীবাদে বিভিন্ন তরীকার উদ্ভব হয়। যেমন, কাদরীয়া তরীকা, চিশতীয়া তরীকা, নকশবন্দীয়া তরীকা, মোজাদ্দেদীয়া তরীকা, সুলতানিয়া-মোজাদ্দেদীয়া তরীকা, সোহরাওয়ার্দীয়া তরীকা, কলন্দরীয়া তরীকা, ওয়ায়সীয়া তরীকা, খিজিরিয়া তরীকা প্রভৃতি। বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় চারশ’ তরীকা বিদ্যমান। এসব তরীকার অনুসারীরা তাঁদের নিজ নিজ তরীকার সাধনায় নিমগ্ন। বিভিন্ন তরীকার মাঝে ওয়াজিফা, নিয়ম, নীতিতে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী লক্ষ্যণীয় যে, তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন তরীকা পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
শরীয়ত ও মারেফত পন্থীদের বিভিন্ন মতাদর্শ ও বিভক্তি সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে বহু দলে ভাগ করে ফেলেছে- যা বিশ্ব মুসলিম ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট করছে। শুধু তাই নয়, এই দলাদলির কারণে মুসলমানরা রাহ্মাতাল্লিল আলামীন হযরত রাসূল (সঃ)-কে ছেড়ে দিয়ে নিজেদের মতাদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পৃথিবীতে এমনি এক নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে, শরীয়তপন্থীরা বলে মারেফতের দরকার নেই। আর মারেফতপন্থীরা বলে শরীয়তের প্রয়োজন নেই। অথচ পবিত্র কুরআনে শরীয়ত ও মারেফত এ উভয়ের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আর এ উভয় জ্ঞানের শিক্ষাই হযরত রাসূল (সঃ) দিয়ে গেছেন। হযরত রাসূল (সঃ)-এর হেরা গুহায় ধ্যানে মগ্নতা, তারপর বাস্তব জগতে প্রত্যাবর্তন। এক কথায় পারমার্থিতা ও যুক্তি তথা আধ্যাত্মিকতা ও কর্ম নিষ্ঠার সমন্বয়ই হলো মোহাম্মদী ইসলামের বৈশিষ্ট্য। মরমীবাদ দিয়ে যাঁর শুরু, শ্রেষ্ঠ জাতি গঠনের মধ্য দিয়ে তাঁর পূর্ণতা। সুতরাং মোহাম্মদী ইসলামে শরীয়ত ও মারেফত এ উভয় বিদ্যাই অত্যাবশ্যক। এর একটি, অপরটির পরিপূরক ও সম্পূরক।
মুসলিম উম্মাহ হযরত রাসূল (সঃ)-এর মৌলিক শিক্ষা হারিয়ে ফেলার কারণে আল্লাহ্ তায়ালার রহমত ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর বরকত হতে বঞ্চিত হয়ে চরম দুরবস্থার মাঝে নিপতিত। একদিকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের আক্রমণ, অন্যদিকে স্বধর্মীদের আত্মঘাতি সংঘাত সংঘর্ষ মুসলমানদের জন্য সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ধর্ম চর্চা ও জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এহেন বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাহ্মাতুল্লিল আলামীন হযরত রাসূল (সঃ)-এর চিরশান্তির ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম পৃথিবীময় পুনর্জাগরণের মাধ্যমে মুসলিম জাতিকে সমহীমায় অধিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ্ দয়া করে শ্রেষ্ঠ সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজানকে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তিনি ইলমে শরীয়ত, তরীকত, হাকীকত ও মারেফতের আলোকে মোহাম্মদী ইসলাম জগৎবাসীর কাছে তুলে ধরেছেন। তাঁর শিক্ষা লাভ করে একজন মানুষ আত্মশুদ্ধি, দিল জিন্দা ও নামাজে হুজুরী অর্জন করে আদর্শ চরিত্রবান হয়ে আশেকে রাসূলে পরিণত হতে পারে।
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজান বেলায়েতের যুগের শ্রেষ্ঠ সংস্কারক। তিনি মুসলিম সমাজে ইসলামের নামে প্রবিষ্ট পবিত্র কুরআন ও হাদীস বিরোধী কুসংস্কারকগুলো বিদূরিত করে হযরত রাসূল (সঃ)-এর প্রকৃত আদর্শ ও শিক্ষা তুলে ধরেছেন। তিনি হযরত রাসূল (সঃ)-এর সীরাজাম্মুনীরার ধারক ও বাহক। তাঁর প্রবল রূহানী শক্তির বদৌলতে মোহাম্মদী ইসলাম বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতি দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়েছে। মোহাম্মদী ইসলামের পরশ পেয়ে হতাশাগ্রস্ত মুসলমানদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আজ বিশ্ববাসীর কাছে মোহাম্মদী ইসলাম শান্তির প্রতীক। এই মোহাম্মদী ইসলামের তরীতে আরোহণ করে মানুষ মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর নৈকট্য লাভ করে ইহকালে শান্তি ও পরকালের মুক্তি লাভ করতে সক্ষম।
প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে হযরত রাসূল (সঃ)-এর মোহাম্মদী ইসলাম যেভাবে জাহেলী যুগের মানুষদের পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত করেছিল, তেমনি এযুগেও পৃথিবীর সমস্ত দ্বন্দ্ব-কলহ, হানা-হানি, যুদ্ধ-বিগ্রহের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম জাতিকে সর্বদিক থেকে একটি আদর্শবান ও সমৃদ্ধশালী জাতিতে পরিণত করতে সক্ষম। আর মোহাম্মদী ইসলামের এই পুনর্জাগরণের সর্বময় কৃতিত্ব হলো শ্রেষ্ঠ সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজানের। তাঁর এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য হযরত রাসূল (সঃ) তাঁকে ৫ই এপ্রিল ১৯৮৯ সালে “মোহাম্মদী ইসলামের পূনর্জীবনদানকারী” খেতাবে ভূষিত করেন।
লেখক : উপাচার্য্য, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ইন্টরন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
No comments:
Post a Comment