Thursday, February 28, 2019

আজ ২৮শে ফেব্রুয়ারী, শুকরিয়া দিবস

আজ ২৮শে ফেব্রুয়ারী, শুকরিয়া দিবস

আজ ২৮শে ফেব্রুয়ারী আশেকে রাসূলদের জন্য শুকরিয়া আদায়ের দিন। গত বছর এদিনে আমাদের মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজান ইউনাইটেড হাসপাতালে ২৫ দিন চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২৮শে ফেব্রুয়ারী তাঁকে বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে ফিরিয়ে আনা হয়। আজকের এই শুভ দিনে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের দরবারে জানাই লাখো শুকরিয়া। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রার্থনা জানাই- হে প্রভু! তুমি দয়া করে আমাদের দয়াল বাবাজানের হায়াত মোবারক দারাজ করে দাও। তাঁর শরীর মোবারক পূর্ণ সুস্থ রেখো। সারা দুনিয়ার মানুষ যেন তাঁর পরিচয় পেয়ে মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করে আশেকে রাসূল হতে পারে, সেই তাওফিক ভিক্ষা দাও। আমীন।

ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী
মহাসচিব
দেওয়ানবাগ শরীফ

Saturday, February 23, 2019

বাবে রহমতের সাপ্তাহিক মাহফিলে সূফী সম্রাট


হযরত রাসূল (সঃ) মে’রাজে গিয়ে আল্লাহকে দেখেছিলেন

মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা বলেন, আল্লাহ্ নিরাকার নন : তাঁর আকার আছে। হযরত রাসূল (সঃ) মে’রাজে গিয়ে আল্লাহকে দেখেছিলেন, তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন। হযরত রাসূল (সঃ) কি নিরাকার আল্লাহর সাথে কথা বলেছিলেন? নিরাকার আল্লাহকে কি দেখেছিলেন? নিশ্চয়ই না। তিনি গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করছিলেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আমরা মাদ্রাসায় যখন পড়তাম, তখন আমাদের শিক্ষকরা পড়াতেন- হযরত জিব্রাঈল (আঃ) হযরত রাসূল (সঃ)-এর কাছে ওহী নিয়ে এসেছিলেন। এর দলিল বুখারী শরীফের কিতাবুল ঈমানের প্রথম হাদীস। কিন্তু এখন আমরা বলছি, আসলে জিব্রাঈল ফেরেশতা রাসূল (সঃ)-কে শিক্ষা দিতে আসেন নাই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেছেন, “আর রাহমানু আল্লামাল কুরআন” অর্থাৎ- দয়াময় আল্লাহ্ (রাসূল কে) কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ্ বলেন তিনি নিজে রাসূল (সঃ)-কে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। অথচ সমাজে প্রচলিত আছে, জিব্রাঈল না-কি শিক্ষা দিয়েছেন। এতেই বুঝা যায়- সমাজের প্রচলিত ধারণা ভুল। আল্লাহ্ নিজেই তাঁর হাবীবকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। এদিকে হযরত রাসূল (সঃ) বলেছেন, “বুয়িস্তু মুয়াল্লেমাল” অর্থ- “আমি শিক্ষক রূপে প্রেরিত হয়েছি।” আল্লাহ্ যাঁকে সুশিক্ষিত করে শিক্ষক রূপে প্রেরণ করেছেন। তিনি কেন জিব্রাঈলের কাছে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন?
তিনি বলেন, আমরা পবিত্র কুরআনের তাফসীর লিখতে গিয়ে দেখেছি, হাদীসের মধ্যে অসংখ্য জাল হাদীস। তখন আমি কি করবো ভেবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেলাম। এরপর আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের দয়ায় সমাধান হয়েছে। আমাকে জানিয়ে দেয়া হলো কুরআনের সাথে যে হাদীসের মিল আছে সেটা গ্রহণ করতে, আর যে হাদীস কুরআনের সাথে মিলে না, সেটা পরিত্যাগ করতে। এরপরে, আমি তাফসীরে যে হাদীসের সাথে কুরআন মিলেছে, সেগুলো গ্রহণ করেছি, আর যে হাদীস কুরআনের সাথে মিলে না, সেটা গ্রহণ করিনি। দেখতে গেলে, বাজারে হাদীসের কিতাব সয়লাব হয়ে গেছে। এর মধ্যে কোনটা রাসূলের হাদীস বুঝা কঠিন। এমতাবস্থায় আমরা কিভাবে হাদীসের উপর আমল করবো? কোরআনের তাফসীরের উপর আমল করবো? তাফসীরের মাঝেও অনেক জাল হাদীস ঢুকে গেছে। হযরত রাসূল (সঃ) পরে ইসলামের চরম শত্রু উমাইয়াইতো ক্ষমতায় এসেছে। উমাইয়াদের ৮৯ বছরের শাসনামলে এরা ক্ষমতায় এসে নিজেদের মত ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়েছে। আর মোহাম্মদী ইসলামটা থেকে মোহাম্মদ নামটা কেটে দিয়ে দ্বীন ইসলাম লাগিয়ে দিয়েছে। এখন সারাবিশ্বের মানুষ বলে ইসলামের নাম দ্বীন ইসলাম। প্রশ্ন জাগে হযরত রাসূল (সঃ)-এর নাম কোথায় গেল? এতে বুঝা যায় দ্বীন ইসলামে রাসূল (সঃ) নেই। এটা সোয়াবের ইসলাম। সুতরাং আমাদের জানতে হবে আমরা কিভাবে চলবো। একারণেই তরীকার সাধনা করে আপনি যদি অন্তরদৃষ্টি জাগ্রত করতে পারেন, অন্তরের কান জাগ্রত করতে পারেন, অন্তরের মুখ জাগ্রত করতে পারেন, তখন ফায়েজের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন, কোনটা সহিহ হাদীস, আর কোনটা জাল হাদীস।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, সারা দুনিয়ার মানুষ মানে আল্লাহ্ নিরাকার। এই জানাটা কি সত্যি? না। বিধর্মীরা হযরত রাসূল (সঃ)-এর ইসলাম ধ্বংস করার জন্য সক্রিয় ছিল। অথচ হযরত রাসূল (সঃ) সব সময় চেষ্টা করেছেন মানুষ যেন আাল্লাহকে পায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ ছলে-বলে-কৌশলে হযরত রাসূল (সঃ)-এর ইসলাম থেকে মানুষকে সরিয়ে দিয়েছে। ফলে বিশ্বে এতো মুসলমান হওয়ার পরও ঐক্যমত নেই। দ্বন্দ্ব,কলহ, মারামারি-কাটাকাটি মুসলমানদের ভিতরেই। আল্লাহর রাসূল (সঃ) বলেছেন, অন্যান্য নবীর উম্মতের মধ্যে বাহাত্তর ফেরকা বা দল; আর আমার উম্মতের মধ্যে তিয়াত্তর ফেরকা বা দল। এদের মধ্যে এক দল বেহেস্তী, আর বাহাত্তর দল জাহান্নামী। আবার এটাও বলেছেন, বাহাত্তর দল জাহান্নামী হলেও তিয়াত্তর দলে মধ্যে প্রত্যেক দলেই আলেম থাকবে। তাহলে আমরা কোন দলে যাবো। সব দলইতো নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, হজ্ব করে, যাকাত দেয়।
তিনি বলেন, আমাদের চলতে হবে আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসূলের বিধান মোতাবেক। আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূলের বিধান মেনে চলে অলী আল্লাহ্রা। নতুবা কেউ অলী-আল্লাহ্ হতে পারে না। অলী-আল্লাহ্ হতে হলে তাঁকে হযরত রাসূল (সঃ)-এর উত্তরসূরী হতে হবে। আল্লাহর মনোনীত হতে হবে। কামালিয়াতের সার্টিফিকেটটা দেন আল্লাহ্ পাক নিজে। মোর্শেদ তাকে শিক্ষা দেন; আর হযরত রাসূল (সঃ) এবং আল্লাহ্ তাকে পুরুস্কৃত করেন। সুতরাং মনোযোগ দিয়ে তরীকার কাজ করেন এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে জানেন।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে- প্রথমে আশেকে রাসূলদের মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফার তালিম দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় জু’মার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর বেলা দেড় টায় জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করে মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি নবাগতদের মোহাম্মদী ইসলামের সবক দেন। মাহফিল শেষে সবাই তাবারুক খেয়ে বিদায় নেন।

Saturday, February 16, 2019

বাবে রহমতের সাপ্তাহিক মাহফিলে সূফী সম্রাট


মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা অনুশীলনের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব

মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা বলেন, মোহাম্মদী ইসলাম কিভাবে বাস্তব জীবনে শান্তি এনে দিতে পারে, এবারের বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনে তা প্রমাণিত হয়েছে। লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসূলের এই মিলন মেলা বর্তমান বিশ্বে শান্তি শৃংখলার এক উজ্বল দৃষ্টান্ত। মানুষ হযরত রাসূল (সঃ)-এর শান্তির ধর্ম মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা অনুশীলন করলে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহ্ফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করছিলেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি মানুষকে হযরত রাসূল (সঃ)-এর শিক্ষা দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমাদের এগারটি দরবার শরীফ ও কয়েকশত খানকাহ্ শরীফ রয়েছে। এসবগুলোতেই ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়- কিভাবে একজন মানুষ আত্মশুদ্ধি লাভ করে আদর্শ চরিত্রবান হতে পারে। হযরত রাসূল (সঃ) হেরাগুহায় নির্জনে মোরাকাবা তথা ধ্যান করে আল্লাহকে পেয়েছেন। পৃথিবীতে আগত সমস্ত নবী-রাসূল মোরাকাবা করে আল্লাহকে পেয়েছেন। সুতরাং আমরা যদি আল্লাহকে পেতে চাই, তবে আমাদের মোরাকাবা করতে হবে। মোরাকাবা বিহনে আত্মশুদ্ধি হয় না।
তিনি বলেন, মুসলিম সমাজে কথায় কথায় শিরিক-বিদআত বলতে শুনা যায়। আসলে আল্লাহর সাথে অপর কাউকে শরীক করাকে শিরিক বলে। আমরা নামাজ পড়ি আল্লাহকে সেজদা করার জন্য। কিন্তু নামাজে দাঁড়িয়ে যদি আল্লাহকে ভুলে অন্য কারো কল্পনা করি, আর ঐ অবস্থায় যদি নামাজ আদায় করি, তবে সেটা হবে শিরিক। কারণ আল্লাহ্ হলেন একমাত্র মা’বুদ অর্থাৎ উপাস্য। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ তায়ালা শিরিক হতে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আপনারা নিয়মিত ওয়াজিফার আমল করবেন। আমল না করলে আত্মশুদ্ধি হয় না। আর আত্মশুদ্ধি না হলে তরীকতের নেয়ামত ধরে রাখা যায় না। আমার মোর্শেদ ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর দরবার শরীফে অনেক ভক্ত মুরীদান ছিলো। তারা সবাই আমার মোর্শেদের তরীকা গ্রহণ করেছিলেন, তাঁর পবিত্র সোহবত লাভ করেছেন। কিন্তু আমার মোর্শেদের ইন্তেকালের পর তাঁর তরীকা ধরে রাখতে পেরেছে, দেওয়ানবাগ ছাড়া আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। একমাত্র আমরাই ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহঃ) তরীকা ধরে রাখতে পেরেছি এবং তা প্রচার করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, মানুষের জীবন খুব বেশী দীর্ঘ সময়ের নয়, দেখতে দেখতে আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দরবারে পুরানো জাকের অনেকে মারা গেছেন। এখন আমাদের দরবারে জাকেরের সংখ্যা এত বেশী যে, পুরাতন লোকদের খুঁজে পাওয়া যায় না। যারা আসে, যারা আমার কাছে এসে ডিউটি করে, তাদের অনেককেই আমি চিনি না। কাজেই সময় থাকতেই আমাদের তরীকতের নেয়ামত লাভ করতে হবে। আপনি যদি দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর পরিচয় লাভ করতে না পারেন, তবে ঈমান নিয়ে কবরে যাওয়া কঠিন হবে। আপনারা মনোযোগ দিয়ে তরীকার আমল করবেন। কেউ গাফিলতি করবেন না।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে- প্রথমে আশেকে রাসূলদের মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফার তালিম দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় জু’মার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেওয়ানবাগ শরীফের সম্মানীত মহাসচিব বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। অতঃপর বেলা দেড় টায় জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করে মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি নবাগতদের মোহাম্মদী ইসলামের সবক দেন। মাহফিল শেষে সবাই তাবারুক খেয়ে বিদায় নেন।

Saturday, February 9, 2019

বাবে রহমতের সাপ্তাহিক মাহফিলে সূফী সম্রাট


আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাবাদী প্রমাণ করেছেন

মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা বলেন, বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলন সাফল্যজনকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাবাদী প্রমাণ করেছেন। আমরা যে সত্য ধর্ম প্রচার করি, তা মানুষ বুঝতে পেরেছে। তিনি গত ৯ই ফেব্রুয়ারী শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করছিলেন।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আল্লাহ্ পাকের অপার দয়ার বদৌলতে আমরা পীরানে পীর, দস্তগীর, সুলতানুল মাশায়েখ, সুলতানিয়া-মোজাদ্দেদীয়া তরীকার ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহঃ)-এর ১০৮তম শুভ জন্মবার্ষিকী স্মরণে গত শুক্রবার বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেল উদযাপন করেছি। এবারের সম্মেলনটা ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী সম্মেলন। আমরা সম্মেলন যেন করতে না পারি, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু রাব্বুল আলামীনের অপার দয়ার বরকতে আমরা সুন্দরভাবে সম্মেলন করতে পেরেছি। এটা আল্লাহর বিশেষ দয়া।
তিনি বলেন, নবীদের যুগ, রাসূলের যুগ, আওলিয়ায়ে কেরামের যুগ অতিবাহিত হয়েছে। তাঁরা আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ মানবজাতির কাছে তুলে ধরেছেন। তাঁরা বলেছেন, আল্লাহ্ এক। এক আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরার কারনে, মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার কারনে, তাঁদের কেহ কেহ শহীদ পর্যন্ত হয়েছেন। আল্লাহ্ পাকের অপার দয়ায় আমরা একেবারে সহজে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। মানুষ বলে, আল্লাহ্ নিরাকার। আমরাও বলতাম, আল্লাহ্ নিরাকার। সাধনা জগতে গিয়ে জানলাম আল্লাহর পরিচয় লাভ করা যায়। নিরাকারের তো আর পরিচয় পাওয়া যায় না। আমি আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরে প্রথমে ‘আল্লাহ্ কোন পথে’ নামক একটা কিতাব লিখেছি। পরে ‘আল্লাহকে সত্যিই কি দেখা যায় না?’ নামে আরেকটি কিতাব লিখেছি। তখন আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আমি, আমার স্ত্রী, আমার বড় মেয়ে, সাঈদুর মিয়াসহ যারা আমাদের কিতাবের সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মোট সতের জন আসামী ছিল। আমি তখন আমার কিতাবের স্বপক্ষে আল্লাহকে দেখা যায়, এই মর্মে একটা স্টেটমেন্ট লিখে উকিলের মাধ্যমে আদালতে পাঠাই। সেটার নাম ছিল ‘সূফী সম্রাটের জবানবন্দী’। জজ সাহেব আমার জবানবন্দী পড়ে মুগ্ধ হয়ে আমার দরবার শরীফে এসে তরীকা গ্রহণ করেন। এরপর মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আমি আল্লাহর পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করার জন্য ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ লিখেছি। এতে পবিত্র কুরআনের বাণী ও হযরত রাসূল (সঃ)-এর বাণী দিয়ে আল্লাহর পরিচয় জগতবাসীর কাছে তুলে ধরেছি। আল্লাহর দয়ায় সম্মেলনের আগের সোমবার আমি এই তাফসীরের নবম খণ্ড লেখা সম্পন্ন করেছি।
তিনি বলেন, এই তাফসীরের ৬ খণ্ড ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। অবশিষ্ট সপ্তম অষ্টম ও নবম এই তিন খণ্ড ছাপানোর প্রক্রিয়া চলছে। এই তাফসীর পাঠ করে বুঝবেন, যারা আল্লাহকে নিরাকার বলছে, তাদের কত বড় ভুল। আল্লাহ্ বলেন, আমার আকার আছে। আর আপনি বলবেন, আল্লাহর আকার নেই। তবে তো আপনি সরাসরি আল্লাহ্র বিপক্ষে চলে গেলেন। আপনারা এই তাফসীর পড়ে বুঝতে পারবেন। আল্লাহ্ নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ্ বলেন, আমি সমস্ত জ্বীন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি, তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করেছি; আমি আসমান জমিনের সমস্ত প্রাণীকে সৃষ্টি করেছি, এদের রিজিকের ব্যবস্থা করেছি। তারপরও মানুষ বলে আল্লাহ্ নিরাকার। এটা কি আল্লাহর জন্য কষ্টের নয়। নিরাকার মানে কিছুই না। আসলে নিরাকার বলতে কিছু নেই। তবে একটা জিনিস আছে, তা হলো ‘ঘোড়ার ডিম।’ কথাটা সমাজে বহুল প্রচলিত। কারণ ঘোড়া জিন্দেগীতে ডিমও পাড়বে না; আর এই ডিমের আকারও হবে না। বিধর্মীদের ষড়যন্ত্র আর স্বধর্মীদের অজ্ঞতার সুযোগে আল্লাহকে নিরাকার বলে প্রচার করা হয়েছে। আল্লাহকে নিরাকার বলার কারনেই মুসলিম জাতির উপর খোদায়ী গজব আসছে। অন্য কোন জাতির উপর এরকম গজব নেই। সারা বিশ্বে মুসলমানরা ইবাদত বন্দেগীও বেশী করে, গজবেও বেশী পড়ে। আপনি যার ইবাদত করেন, আপনি যদি তাকে নিরাকার বলেন, তিনি কি খুশী হবেন? আল্লাহ্ নিজের পরিচয় প্রচারের জন্য এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন, তাঁরা সবাই স্বজাতির কাছে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরেছেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, মুসলিম জাতির আরেকটি ভ্রান্ত ধারণা যে, হযরত রাসূল (সঃ) গরীব ছিলেন। অথচ তাঁর দাদা ছিলেন মক্কার শাসনকর্তা। তাঁর পিতা ছিলেন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী। শৈশবে হযরত রাসূল (সঃ) দাদার তত্ত্বাবধানেই লালিত পালিত হন। তিনি মক্কার সবচেয়ে ধনাঢ্য রমনী হযরত খাদিজা (রাঃ)-কে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর দরবারে প্রতিদিন তিন থেকে চারশত লোক খাবার খেতেন। তিনি গরীব হলে প্রতিদিন কি এতলোক খাওয়াতে পারতেন? আমরা যদি কুলকায়েনাতের রহমত হযরত রাসূল (সঃ)-কে গরীব বলি, তবে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন কিভাবে?
তিনি বলেন, আমরা আল্লাহ্ ও হযরত রাসূল (সঃ) সম্বন্ধে আমাদের ধারণা ও বিশ্বাস ঠিক রেখে সাধনা করলে তবেই মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছতে পারবো। আপনারা মনোযোগ দিয়ে তরীকার কাজ করেন। তাহলে আল্লাহর সাহায্য পাবেন।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে- প্রথমে আশেকে রাসূলদের মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফার তালিম দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জু’মার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দেওয়ানবাগ শরীফের সম্মানিত মহাসচিব বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা করেন। অতঃপর বেলা ২টায় জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করে মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি নবাগতদের সবক দেন। মাহ্ফিল শেষে সবাই তাবারুক খেয়ে বিদায় নেন।

Tuesday, February 5, 2019

বাংলাদেশের ২০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সাবধান !!!

অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে ২০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। সারা দেশে এসব প্রতিষ্ঠানের ৩ শতাধিক ক্যাম্পাসও চলছে অবৈধভাবে। ক্যাম্পাসগুলোতে যেসব কোর্স ও প্রোগ্রাম পাঠ্য তাতেও নেই সরকারি অনুমোদন। শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, ‘বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে যারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে, তাদেরও সরকারি অনুমোদন নেই। যে কারণে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত সনদ বাস্তব জীবনে কোনো কাজে আসছে না। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি তরফে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সাবধান থাকতে বলা হচ্ছে

এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, ‘১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কালো তালিকাভুক্ত করেছি। এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের আইন-কানুন মানতে চায় না। তারা আদালতের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চলছে। এখন আমরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলাগুলোর এক কোর্টে এনে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করব। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলি শনিবার বিকালে মোবাইল ফোনে জানান, ‘অবৈধ ও ভুয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের ক্যাম্পাস সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে আমরা খুব শিগগিরই একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করব। এ নিয়ে কাজ চলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনত কোনো বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃত নয়।’ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।


এ পরিস্থিতিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খাঁচায় ভরতে একশ্রেণীর শিক্ষা বেনিয়া ‘বিশ্ববিদ্যালয়’র ফাঁদ পেতে বসেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় সারা দেশেই দেশী-বিদেশী অবৈধ ও ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছড়িয়ে দিয়েছে প্রতারকরা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অন্তত তিন শতাধিক অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে ইতিমধ্যে অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন। লাখ লাখ টাকা খরচ ও বছরের পর বছর পার করেও বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি মৌসুমে সরকার একদফা বৈধ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় দফায় সমস্যাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়েরও তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে।

সূত্রগুলো জানায়, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং যারা অবৈধ আউটার ও শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে সরকার মূলত তাদের ব্যাপারে এ যাত্রায় সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১২টি। এছাড়া ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা বহু আগেই সরকার কর্তৃক কালো তালিকাভুক্ত, কিন্তু আদালতে মামলা করে স্থিতাদেশের জোরে চলছে। ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩টি। বাকিগুলো নানা অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত এবং সরকারের সঙ্গে সেগুলোর মামলা চলমান রয়েছে।

যে ২০ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সাবধান ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন । 

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৬ জুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবৈধ কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়েছে। এছাড়া অবৈধ ক্যাম্পাস বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও একাধিক পত্রও দিয়েছে।

সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলাসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- দি পিপলস, দারুল ইহসান, প্রাইম, অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন, নর্দার্ন, বিজিসি ট্রাস্ট, ইবাইস, আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম (ইউএসটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য জটিলতাও রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম নয়টি অবৈধ ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য কেউ কেউ উচ্চ আদালতের স্থিতাদেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এই নয়টির মধ্যে আবার দারুল ইহসান, প্রাইম এবং ইবাইস নিয়ে মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মধ্যে দারুলের চারটি পক্ষ মিলে সারা দেশে অন্তত ১৪০টি অবৈধ ক্যাম্পাস চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই চার পক্ষের একটি হচ্ছে উত্তরার জনৈক আবুল হোসেন। তিনি প্রাইম ইউনিভার্সিটিরও মালিক দাবিদার। অবশ্য প্রাইমের (মিরপুরের ২এ/১, নর্থ দারুস সালাম রোড মিরপুর ১ নম্বর বাদে) উত্তরার বিএনএস সেন্টারসহ যত অবৈধ ক্যাম্পাস আছে তা উচ্ছেদের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়েছে। এ পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মহাপুলিশ পরিদর্শককে (আইজিপি) চিঠি দেয়া হয়। যদিও গত তিন দিনেও পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাস উচ্ছেদে কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়া ইবাইস ইউনিভার্সিটি নিয়েও মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অবৈধ ক্যাম্পাসও রয়েছে।

যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা দ্বন্দ্ব এবং অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে, ওইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. আতফুল হাই শিবলি। তিনি বলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে এক ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আসন সংখ্যার কোনো সংকট নেই। তাই ইউজিসির ওয়েবসাইট দেখে ও খোঁজখবর নিয়েই শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়া উচিত।
জানা গেছে, আউটার ক্যাম্পাস বাণিজ্যে আরও যারা লিপ্ত রয়েছে তাদের মধ্যে একটি ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং (আইআইইউসি)। এই প্রতিষ্ঠানটি মামলার জোরে ঢাকায় একটি ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। এর বাইরে চট্টগ্রামের বহদ্দার হাটেও একটি ক্যাম্পাস তারা খুলেছে বলে জানা গেছে। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া সম্প্রতি রাজশাহীতে অবৈধ একটি ক্যাম্পাস খুলেছে বলে ইউজিসি সূত্র জানিয়েছে।

এর বাইরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, পিচব্লেন্ড, মদিনাতুল উলুম বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাস্তবে এসব নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়নি সরকার। জানা গেছে, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নামে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যিনি ক্যাম্পাস চালাচ্ছেন, তিনি এর আগে পিচব্লেন্ড নামে অবৈধ আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় চালাতেন। পিচব্লেন্ড সরকার বন্ধ করে দেয়ার পর মাঝখানে বেশ কিছু দিন তিনি নিবৃত্ত ছিলেন। এখন আবার জনগণকে প্রতারিত করতে প্রিমিয়ারের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছেন। এর বাইরে রাজশাহী অঞ্চলে ‘মদিনাতুল উলুম বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে আরও একটি ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে।

আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিও এক সময়ে অবৈধভাবে পরিচালিত হতো। সরকারের কড়াকড়ির কারণে এটি বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি এটি ফের চালু হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে দেখা গেছে। আমেরিকান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি (আমবান) সরকার বন্ধ ঘোষণা করলেও তারা সারা দেশে ২২টি অবৈধ ক্যাম্পাস চালাচ্ছে। একই ভাবে কুইন্স ইউনিভার্সিটিও অবৈধভাবে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। সরকার কয়েক বছর আগে এদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।

চটকদার বিজ্ঞাপনের বাহার : এদিকে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেও একশ্রেণীর প্রতিষ্ঠান মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এর বাইরে যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, সাইপ্রাসসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ইত্যাদিতে ভর্তির ফাঁদও রয়েছে, যার চটকদার বিজ্ঞাপন প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই নজরে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর ফলে অনেকেই প্রতারিত হতে পারেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তাদের হিসাবেই বর্তমানে ঢাকাসহ সারা দেশে অন্তত ৬৮টি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় বা এর শাখা ও স্টাডি সেন্টার রয়েছে। তবে বাস্তবে এসব প্রতিষ্ঠান শতাধিক রয়েছে বলে জানা গেছে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একদিকে অভিভাবক-শিক্ষার্থী অন্যদিকে সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে সজাগ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিসের সাবেক সহ-সভাপতি ও ইস্টার্ন ইউনির্ভাসিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আবুল কাশেম হায়দার বলেন, অবৈধ ক্যাম্পাস এবং সনদ বাণিজ্যের ব্যাপারে সমিতি সব সময়ই সোচ্চার। তাদের পক্ষ থেকে অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাসের বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো এক শ্রেণীর কর্মকর্তা এসব প্রতিষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনদের চাকরি দেয়, আবার কেউ কমিশন নেয়।
-তথ্য সূত্র : টেকিব্লগ

"আজ অবিস্মরণীয় ৫ই ফেব্রুয়ারী"

আজ ৫ই ফেব্রুয়ারী আশেকে রাসূলদের জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন। ২০১৭ সালের এদিনে আমাদের মহান মোর্শেদ শ্রেষ্ঠ সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) দয়াল বাবাজান আকস্মিকভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে বিকেল ৫টায় রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ২৫দিন চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ২৮শে ফেব্রুয়ারী তাঁকে বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে ফিরিয়ে আনা হয়।

দয়াল বাবাজানের অসুস্থতার সংবাদ নির্মিষেই সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সমস্ত আশেকে রাসূলদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। আশেকে রাসূলরা স্বীয় মোর্শেদের সুস্থতা কামনা করতঃ মানত করে, দরূদ শরীফ পড়ে, মিলাদ পড়ে, নফল নামাজ ও রোজা পালন করে, আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রার্থনা জানান। আল্লাহ্ তায়ালার অসীম রহমতে তিনি সুস্থ হয়ে আবার আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আজকের এদিনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানাই- "হে প্রভু! তুমি দয়া করে আমাদের দয়াল বাবাজানের হায়াত মোবারক দারাজ করে দাও। তাঁর শরীর মোবারক পূর্ণ সুস্থ রেখো। সারা দুনিয়ার মানুষ যেন তাঁর পরিচয় পেয়ে মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করে আশেকে রাসূল হতে পারে, সেই তাওফিক ভিক্ষা দাও। আমীন।"