“পূর্ণিমার চাঁদের অনুষ্ঠানে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়”
মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলা বলেন, পূর্ণিমার চাঁদের অনুষ্ঠানে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়। তিনি গত ২১শে ডিসেম্বর, শুক্রবার রাজধানী ঢাকার মতিঝিলের আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে ‘আল্লাহর দেয়া পুরস্কার : পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ আশেকে রাসূল (সঃ) মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক দিচ্ছিলেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, পূর্ণিমার অনুষ্ঠানের দিন যে আল্লাহর দয়া,
রহমত ও বরকতের, তা আমাদের জানা ছিল না। যখন জাকেররা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়
পূর্ণিমার চাঁদে দেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসেছে, তাদের কাছ থেকে
শুনলাম কি হয়েছে। এরপরে আস্তে আস্তে দেশ-বিদেশ থেকে জাকেররা শ্রদ্ধা
জানানোর জন্য দলে দলে এসেছিল। আমাদের প্রায় তিন মাস লেগেছে, জাকেরদেরকে
জেলা ভিত্তিক সংবর্ধনা দেয়ার সময় দিতে।
তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সঃ) কোন শুভ সংবাদ, ভাল সংবাদ পেলে সাহাবাদেরকে নিয়ে দুই রাকাত সালাতুস শুকুর নামাজ আদায় করতেন। আমরাও সেই অনুযায়ী প্রতি মাসের পূর্ণিমায় সালাতুস শুকুর আদায় করি।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আল্লাহ্ পাক চাঁদে যে তাঁর নিদর্শন দেখাবেন, তা আমরাও আগে জানতাম না। পরে খুঁজতে খুঁজতে পবিত্র কোরআনে দুইটি আয়াত আর হাদীস শরীফের ছাব্বিশটা হাদীস পেয়েছি। এরপর থেকে আমরা এটা পালন করে যাচ্ছি। আসলে ধর্মে অনেক কিছু আছে, যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। নিয়মিত যদি আমরা আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলি, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি রহমত, বরকত নাজিল হবে, আমরা উপকৃত হব, আমরা আল্লাহর দয়া পাবো।
তিনি বলেন, নিয়মিত এই সময়গুলো আমরা ধরে রাখতে পারলে আল্লাহর দয়া দ্বারাই আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারবো। আপনারা নিয়মিত দরবার শরীফে আসবেন। আসলে আত্মার মাঝে বাস্তবে যে শান্তিটা পাবেন, সেটাকেই ইসলাম বলে। সাহাবায়ে কেরাম হযরত রাসূল পাক (সঃ)-এর সান্নিধ্যে গিয়ে যে শান্তিটা পেত, এই শান্তিটাই ইসলাম। আমরা যদি নিয়মিত দরবার শরীফে আসি, আর এই শান্তিটা পেতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যক্তি জীবনে ইসলামের প্রকৃত শান্তি পাব। পাশাপাশি এই সোহবতের মাধ্যমেই আমাদের ভিতরের যে দোষত্রুটি আছে সেগুলো আল্লাহ্ দয়া করে দূর করে দিবেন, আমরা চরিত্রবান হবো। এজন্য আমাদের নিয়মিত তরীকার আমলও করা লাগবে, আর ঘন ঘন দরবার শরীফেও আসতে হবে।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে- প্রথমে আশেকে রাসূলদের মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফার তালিম দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় জু’মার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন- দেওয়ানবাগ শরীফের মহাসচিব, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী। অতঃপর বেলা দেড়টায় দুই রাকাত সালাতুস শুকুরের পর জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করে মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি নবাগতদের সবক দেন। মাহফিল শেষে সবাই তাবারুক খেয়ে বিদায় নেন।
তিনি বলেন, হযরত রাসূল (সঃ) কোন শুভ সংবাদ, ভাল সংবাদ পেলে সাহাবাদেরকে নিয়ে দুই রাকাত সালাতুস শুকুর নামাজ আদায় করতেন। আমরাও সেই অনুযায়ী প্রতি মাসের পূর্ণিমায় সালাতুস শুকুর আদায় করি।
সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা বলেন, আল্লাহ্ পাক চাঁদে যে তাঁর নিদর্শন দেখাবেন, তা আমরাও আগে জানতাম না। পরে খুঁজতে খুঁজতে পবিত্র কোরআনে দুইটি আয়াত আর হাদীস শরীফের ছাব্বিশটা হাদীস পেয়েছি। এরপর থেকে আমরা এটা পালন করে যাচ্ছি। আসলে ধর্মে অনেক কিছু আছে, যা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। নিয়মিত যদি আমরা আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলি, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি রহমত, বরকত নাজিল হবে, আমরা উপকৃত হব, আমরা আল্লাহর দয়া পাবো।
তিনি বলেন, নিয়মিত এই সময়গুলো আমরা ধরে রাখতে পারলে আল্লাহর দয়া দ্বারাই আমাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারবো। আপনারা নিয়মিত দরবার শরীফে আসবেন। আসলে আত্মার মাঝে বাস্তবে যে শান্তিটা পাবেন, সেটাকেই ইসলাম বলে। সাহাবায়ে কেরাম হযরত রাসূল পাক (সঃ)-এর সান্নিধ্যে গিয়ে যে শান্তিটা পেত, এই শান্তিটাই ইসলাম। আমরা যদি নিয়মিত দরবার শরীফে আসি, আর এই শান্তিটা পেতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যক্তি জীবনে ইসলামের প্রকৃত শান্তি পাব। পাশাপাশি এই সোহবতের মাধ্যমেই আমাদের ভিতরের যে দোষত্রুটি আছে সেগুলো আল্লাহ্ দয়া করে দূর করে দিবেন, আমরা চরিত্রবান হবো। এজন্য আমাদের নিয়মিত তরীকার আমলও করা লাগবে, আর ঘন ঘন দরবার শরীফেও আসতে হবে।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠান শুরু হলে- প্রথমে আশেকে রাসূলদের মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফার তালিম দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টায় জু’মার নামাজের আজানের পর মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করেন- দেওয়ানবাগ শরীফের মহাসচিব, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ডক্টর সৈয়দ এম. সাঈদুর রহমান আল্-মাহবুবী। অতঃপর বেলা দেড়টায় দুই রাকাত সালাতুস শুকুরের পর জু’মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মাহফিলে সমবেত হাজার হাজার আশেকে রাসূলদের উদ্দেশ্যে বাণী মোবারক প্রদান করে মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এরপর তিনি নবাগতদের সবক দেন। মাহফিল শেষে সবাই তাবারুক খেয়ে বিদায় নেন।
No comments:
Post a Comment